কর্মশালার উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বেনজীর আহমেদ আরো বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের সাড়ে ৩ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী রয়েছেন। ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৩৩ লাখ। হাতে হাতে ইন্টারনেট, সেই সাথে থ্রিজি। যা গ্রাম পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। এটা সাফল্য হলেও প্রযুক্তিকে অপরাধ ও সন্ত্রাসে ব্যবহার করা হচ্ছে। মেয়েদের ছবি ফটোশপে কাজ করে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ফেসবুকে ছড়ানো হচ্ছে।
কমিশনার বেনজীর আহমেদ আরো বলেন, গত ২৪ অক্টোবর থেকেই ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত ওসি থেকে শুরু করে সিনিয়র অফিসারদের সারা রাত অশ্লীল এসএমএস ও কলের মাধ্যমে হুমকি দেয়া হয়েছে। স্মার্টফোনের স্ক্রীনলক ম্যাসেজ এসেছে, যা না পড়লে মোবাইল ব্যবহার করা যাবে না। যার কেন্দ্র ছিলো বিদেশে। প্রতিদিনই আমরা বিভিন্ন স্থানে আমাদের ডিজিটাল হাতের ছাপ রেখে আসছি। প্রতি মুহূর্তে প্রযুক্তির ব্যবহার করা হচ্ছে। ৫ মে’র অপারেশ শাপলা নিয়ে ফটোশপে কাজ করে মিথ্যা ও বিকৃত তথ্য ছড়ানো হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, রাজধানীর নাগরিকদের নিরাপত্তা দিতে প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই শহরকে নিরাপদ রাখা হচ্ছে। বিগত সময়ের হরতাল ও অবরোধ কর্মসূচী চলাকালে এই শহরকে নিরাপদ রাখা হয়েছিলো। এক্ষেত্রে তিনি নাগরিকদের আরও সহযোগিতা কামনা করেন।
ইনসাইড বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের পরিচালক তানভীর হাসান জোহা বলেন, শুধু পুলিশই নয় প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দলীয় নেত্রীও সাইবার ক্রাইমের শিকার হয়েছেন। প্রশাসনকে বেকায়দায় ফেলতে মিথ্যা তথ্য প্রচার করা হয়েছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশে ডিজিটাল ব্যাংকিং শুরু হয়েছে। কিন্তু তা পর্যাপ্ত আকারে নয়। আমরা যদি আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং শুরু করি তাহলে তথ্য প্রযুক্তিকে আরো নিশ্ছিদ্র করা জরুরী। কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত কমিশনার মো. আবদুল জলিল, সংগঠনের সভাপতি রাশেদ আলী খান, উপ-পুলিশ কমিশনার মোল্ল্যা নজরুল ইসলাম। অনুষ্ঠিত এই কর্মশালায় মোট ২০ জন পুলিশ কর্মকর্তা অংশ গ্রহণ করেন। তার মধ্যে রাজধানীর ৮টি অপরাধ বিভাগের ৮জন পুলিশ কর্মকর্তা, গোয়েন্দা বিভাগের ৪টি জোনের ৮জন পুলিশ কর্মকর্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ৪ জন পুলিশ কর্মকর্তা রয়েছেন। উল্লেখ্য, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনাটি ২০০৬ সালে জাতীয় সংসদে পাশ হয়। পরবর্তী সময়ে তথ্য প্রযুক্তি সংশোধন আইনে শাস্তির মেয়াদ বৃদ্ধি করে ন্যূনতম ৭ বছর এবং সর্বোচ্চ ১৪ বছর কারাদন্ডের বিধান করা হয়েছে। ২০০৬ সালের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে সর্বোচ্চ ১০ বছর সাজার বিধান ছিল। ভূক্তভোগী সরাসরি থানায় মামলা করতে পারবে। গত ১২ সেপ্টে¤॥^র সংসদের চলতি ১৯তম অধিবেশনের প্রথমদিন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (সংশোধনী), ২০১৩ইং অধ্যাদেশটি সংসদে উপস্থাপন করার পর সেটিকে বিলে রূপ দিয়ে গত ১৯ সেপ্টেম্বর এই বিলটি সংসদে উত্থাপন করা হয়।# -
0 comments:
Post a Comment