নফল নামাজের ফজিলত


undefined
ফরজ ইবাদতের কোনো তুলনা নেই। ফরজ নামাজ আদায়ের পর যারা নফল নামাজ আদায় করেন তাদের প্রতি রয়েছে আল্লাহর বিশেষ রহমত। নফল নামাজ আদায়ের মাধ্যমে আল্লাহ ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সন্তুষ্টি অর্জন করা যায়। আখিরাতে তাদের বিশেষভাবে পুরস্কৃত করা হবে। উম্মে হাবীবা (রাযি.) বলেন, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি। তিনি বলেন : 'যে ব্যক্তি দিন রাতে ১২ রাকাত নামাজ (ফরজ ব্যতীত) আদায় করবে এর বিনিময়ে তার জন্য জান্নাতে একটি ঘর নির্মিত হবে।' (মুসলিম, তিরমিজি)
আর তা হচ্ছে জোহরের পূর্বে চার রাকাত, পরে দুই রাকাত, মাগরিবের পরে দুই রাকাত, এশার পরে দুই রাকাত, ফজরের পূর্বে দুই রাকাত। বুখারি শরিফের হাদিসে নফল নামাজ আদায়কারীদের সম্পর্কে বলা হয়েছে, আল্লাহ তাদের প্রার্থনা যেমন কবুল করেন এবং তাদের আশ্রয়ও দেন।
হজরত আবু হুরায়রা (রাযি.) থেকে বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন : 'আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন, যে আমার কোনো ওলির সঙ্গে শত্রুতা পোষণ করে, আমি তার বিরুদ্ধে যুদ্ধের ঘোষণা প্রদান করেছি। আমার বান্দা কোনো পুণ্যের মাধ্যমে আমার নৈকট্য লাভ করতে পারবে না ফরজ ব্যতীত। আর ফরজের পর সে সর্বদা নফল আদায় করে তা হলে আমার অধিক নৈকট্য অর্জন করতে পারবে। অবশেষে আমি তাকেই ভালোবাসতে থাকি। অতঃপর আমি তার কান হয়ে যাই, যার দ্বারা সে শুনতে পায়; আমি তার চোখ হয়ে যাই, যা দিয়ে সে দেখতে পায়; আমি তার হাত হয়ে যাই, যা দ্বারা সে পাকড়াও করে; আমি তার পা হয়ে যাই, যা দিয়ে সে চলাফেরা করে। আর সে যদি আমার নিকট কিছু প্রার্থনা করে, আমি তাকে অবশ্যই তা প্রদান করি। আর যদি সে আমার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করে, আমি তাকে অবশ্যই আশ্রয় প্রদান করি। (বুখারি)
আল্লাহ আমাদের সবাইকে ফরজের পাশাপাশি আরও বেশি নফল ইবাদতের তাওফিক দান করুন।
লেখক : ইসলামী গবেষক।

- See more at: http://www.bd-pratidin.com/2014/01/02/35463#sthash.00DhFih9.dpuf
Share on Google Plus

About BDtop-news24.co

    Blogger Comment
    Facebook Comment

0 comments:

Post a Comment